শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন!

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন!
সংগৃহীত

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নোয়াখালীর কবিহাট উপজেলা থেকে জেলা শহর মাইজদী পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদে নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়েছে। ব্যক্তি স্লোগানে শোডাউনের এমন একটি লাইভটি ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূল নেতাকর্মিদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশের পূর্বে এই শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাস্তায় ব্যাপক যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুবদল নেতা বলেন, বিএনপি নেতা আবেদকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে জেলা শহর মাইজদীর জেলা জজ কোর্ট সড়কে নোয়াখালী জেলা বিএনপি একটি সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপি নেতা আবেদের নির্দেশে ওই সমাবেশের পূর্বে প্রায় শতাধিক মোটরসাইক নিয়ে তার অনুসারীরা শোডাউন করে। এসময় তার অনুসারী নেতাকর্মীদের শুধু মাত্র তার নামে অধিকাংশ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

 এর আগে, গত ৯ অক্টোবরসহ তিনদিন তার অনুসারী নেতাকমিদের নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় মিছিল নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতা আবেদের বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শোডাউন করায় নোয়াখালীর একাধিক নেতাকে শোকজ ও বহিষ্কার করা হয়। তবুও নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাদের থামছে না মোটরসাইকেল শোডাউন কালচার।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জনগণের দুর্ভোগ হয়-এমন কোনো কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। কোনো প্রকার বিলবোর্ড টানানো এবং নেতাদের শোডাউন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দলের তৃণমূল পর্যায়ে দেওয়া হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন কর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, পার্টির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে মোটরসাইকেল শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় একজন নেতা এই ধরনের কাজ কীভাবে করেন? আজকের এই শোডাউনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের দলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিক ফোন দেওয়া হলে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে। ওই বিএনপি নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়টি প্রথম আমি গণমাধ্যম কর্মীর থেকে জানতে পারি। এ বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়