নোয়াখালীতে আ.লীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

অপারেশন ডেভিল হান্টে নোয়াখালীতে পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। বুধবার জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে যৌথবাহিনী। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম থানা থেকে তিনজন, হাতিয়া থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, চাটখিল থানা থেকে দুইজন এবং চরজব্বর থানা থেকে যৌথবাহিনী দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুধারাম মডেল থানার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরু উদ্দিন মঞ্জু (৪৭), অশ্বদিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. কামাল হোসেন (৩৮), আন্ডারচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিক উল্যাহ (৬০), হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর হাদী (৪৫), বেগগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য মনির হোসেন মঞ্জু (৩৩), চাটখিল পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন (৪৪), খিলপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম জিহাদ (২৪), চরজব্বর থানার আওয়ামী লীগের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু মো. আবুল কালাম শফি চৌধুরী (৬০) ও তার স্ত্রী বিবি হাছিনা (৪০)।
নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবুল কালাম মো. সফি উল্লাহ ও তার স্ত্রী বিবি হাছিনাকে চরজুবলী ইউনিয়নের নদীর নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি রামদা ও একটি ছোড়াসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সফি উল্লাহর অনুসারীরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকায় মাইকিং করতে শুরু করে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের মতো নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।