বোর্ডে ‘আ. লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ ভেসে উঠতেই হাসপাতালে তাণ্ডব
নোয়াখালী সদরের একটি হাসপাতালের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠেছে আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখার পর পরই হাসপাতালে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী হাসপাতাল রোডের সিটি হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পরই বিএনপি পরিচয়ে নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোডের সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতালের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের ম্যানেজার কাজী মো.শাহজাহান নাজিম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে প্রথম হাসপাতালে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু,আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, লেখা ভেসে উঠে। তখন আমাদের নৈশ প্রহরী সেটা ডিসকানেক্ট করে দেয়। পরে এটা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আবার ডিসপ্লেতে কানেকশন দেয় এরপর লেখাটি পুনরায় ভেসে উঠে। ডিসপ্লেলের হাসপাতালের কোন অ্যাপে,তারে বা মোবাইলে নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি হাসপাতালের বাহিরে থাকা একটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে চলে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, গতকাল রাতে ডিসপ্লেতে লেখা ভেসে উঠে নাই। এটি ঘটানো হয়েছে। এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাসপিটালের ডাক্তার সালমা ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির পূর্ব বিরোধ ছিল। ধারণা করছি ওই বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বলেন, ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম তদন্ত করে দেখছে।তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।