সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে ষড়যন্ত্র আছে : সারজিস
গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে দুটি ভিন্ন জায়গায় একযোগে আগুন লাগার ঘটনায় এর পেছনে যে ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির 'ঠাকুরগাঁও রাইজিং' প্রোগ্রামে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, সচিবালয়ের দুই রুমে আগুন, মধ্যবর্তী রুমের পার্থক্য প্রায় ১০০ মিটার। এটা কীভাবে সম্ভব। আগুন একটা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে। এটাই হওয়ার ছিল। কিন্তু এমন দুটি রুমে আগুন লেগেছে যে দুটি রুমে অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের অফিস। যারা এখন বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের রুম।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে ও দেখতে পেরেছি, সেখানে একটি কুকুরের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সচিবালয়ের ভেতরে কীভাবে একটি কুকুর পাওয়া যেতে পারে। এখানে কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র আছে এটা আমরা নিশ্চিত। আপনারা দেখেছেন, কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। সেটিও আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করতে হবে।
সচিবালয়ের বড় আমলারা খুনি হাসিনাকে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছিল উল্লেখ করে সারজিস বলেন, আমলাদের একটা বড় অংশ বিগত ১৬ বছরের সকল অন্যায় অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে। এদের একটা বড় অংশ দেশের সরকারি অফিসগুলোতে খুনি হাসিনার পারিবারিকতন্ত্র চালিয়েছে। রেফারেন্স, স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে, দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে প্রত্যেকটা সরকারি অফিস দলীয়করণ হয়ে গিয়েছিল।
নির্বাচনের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে যদি বলা যেত দুই-তিন বছর সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে, তাহলে শুধু রাজনৈতিক দল না, একজন সাধারণ মানুষকেও দ্বিমত পাওয়া যেত না। আবার নির্বাচনের সময়কে দীর্ঘ করে দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের এখনো পাঁচ মাস পার হয়নি। তাদের স্ট্যান্ডার্ড সংস্কারের সময় ও সুযোগ দিতে হবে।