সিলেটে আ.লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতাকে কুপিয়ে জখম

আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে অপহরণ করার পর কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের মুক্তিপণ দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সিএনজি অটোরিকশা করে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন মিসবাহ সিরাজ। সুবিদবাজার এলাকার ফাজিলচিশ্চতে পৌঁছামাত্র কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়কজন যুবক মিসবাহ উদ্দিনের অটোরিকশার গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মিসবাহ সিরাজের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন দিয়ে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দেওয়া হলে রাত সাড়ে ৩টায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাগরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর রাগীব রাবেয়া হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের সোবহানীঘাটস্থ আল হারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভোর ৪টায়। রাতেই ডাক্তাররা তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন এবং শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এবং এভার গ্রিন হাসপাতালেন একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে নিরাপদে সরে যান তার পরিবার।
আল হারামাইন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চৌধুরী নাহিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, গতরাতে ৪টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। পরবর্তী সময়ে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও স্বজনরা হাসপাতালে বলেছেন তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বাম পায়ে হাটুর নিচে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে চলে যান তার স্বজনরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিয়ে ছাড়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাটি মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত হয়েছেন। পুরো ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মেয়ে মুনতাহা আহমদ মিসবাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য উনাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সবার কাছে আমার বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এই বিষয় শুনেছি। উনার পরিবারের কাছ থেকে সরাসরি কিছু জানতে পারিনি।