বিএনপি ও কাদের সিদ্দিকীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার তালতলা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।   

জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশের আয়োজন করে। একইদিন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকেও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল তালতলা এলাকায় পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে তারা পোস্ট অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমর্থকরা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী নাঈম শিকদারকে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ উঠে। এ খবর উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম তার বাসভবনে বর্ধিত সভায় বিএনপির কর্মীদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয় বলে অভিযোগ তুলে বিএনপি। পরে তার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু অশালীন বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলার তালতলা চত্বরে মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা চত্বরটি আগেই দখলে নেন। বেলা ১১টার দিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব বলেন, আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু বলেন, ‘পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা লাঠির মাথায় গামছা বেঁধে তালতলা চত্বরে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশের দিকে আসছিল। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন (ওসি) বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। পরে হঠাৎ করেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।