ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশত। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১১টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পৌর শহরের পঞ্চবটি কাঠেরপুল এলাকার সঙ্গে জগন্নাথপুর গাইনহাটি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুই সপ্তাহ আগে গাইনহাটি এলাকার যুবকদের সঙ্গে পঞ্চবটি এলাকার যুবকদের মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর মারামারি হয়। পরে স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ফের একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার শহরের চকবাজারে ওই এলাকার শান্ত ও এমদাদুলকে মারধর করে গাইনহাটির লোকজন। উভয়পক্ষের নেতারা শনিবার সকাল ১০টায় বিষয়টি মীমাংসা করতে সময় দিলেও পরে গাইনহাটির পক্ষ থেকে মীমাংসা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
বেলা ১১টায় উভয়পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, টেঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১১টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় দুইটি অটো গ্যারেজ লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিটন মিয়া ও চায়না বেগম গণমাধ্যমকে জানান, এক বছরে তিনবার ঝগড়া করেছে দুই এলাকার মানুষ। কাঠেরপুল এলাকায় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দুইপক্ষের ঝগড়ার মধ্যে পড়ে আগেও আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করেছে।
এ বিষয়ে গাইনহাটি এলাকার নন্দন আলী ও ইকবাল মিয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছেলেরা ঝগড়া করেছে।
এ বিষয়ে পঞ্চবটি এলাকার ফারুক মিয়া আর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ওমর মোহাম্মদ অপু জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছে আমরা জানি না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।