নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে উদীচীর নিন্দা
নারায়ণগঞ্জে প্রশাসন লালন মেলার অনুমতি বাতিল করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমতি রঞ্জন দে বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে দেশে সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবছরের মতো এবারও ২২ ও ২৩ নভেম্বর নরসিংহপুর গ্রামের মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমির প্রাঙ্গণে সাধুসঙ্গ ও লালন মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে মেলার কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আবদুল আউয়াল। পুলিশকে জানিয়েও নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানিয়েছেনে মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফকির শাহ জালাল।
এতে আরও বলা হয়েছে, যারা লালন মেলা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মেলার অনুমতি বাতিলের নিন্দা জানায় উদীচী। মেলা বন্ধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের মত প্রকাশ, ধর্ম পালন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।
উদীচী মনে করে, আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনার আধার লালন সাঁইয়ের নামে মেলার কার্যক্রম বন্ধের ঘটনা প্রগতিশীল সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সহায়ক নয়। যারা লালন মেলা বন্ধের হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মেলার অনুমতি বাতিলের নিন্দা জানায় উদীচী। বিভিন্ন সময় ধর্মীয় ইস্যু তুলে লালন মেলায় বাধা দেয়া ছাড়া সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার ঘটনা দেখা গেছে। কিন্তু, দুঃখজনকভাবে কোনো ঘটনাতেই দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি পুলিশ-প্রশাসনকে। লালন মেলা বন্ধের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান উদীচীর নেতৃবৃন্দ।