শেরপুরে দুই মরদেহ উদ্ধার
শেরপুর জেলায় সোহেল রানা (১৯) নামে এক যুবক ও এরশাদ আলী (৫৮)কবিরাজের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা এগারোটা ও আড়াইটার দিকে পৃথকভাবে পুলিশ ওই মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এর মধ্যে এরশাদ আলীর হাত-পা বাধা ছিল এবং সোহেল রানার গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরশাদ আলী সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, এরশাদ আলী গত ১৭ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। সোমবার বেলা এগারোটার দিকে স্থানীয়রা ব্রহ্মপুত্র নদের ব্রিজের নিচে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রথমে অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার পরিবারের দাবি, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশির সাথে এরশাদের বিরোধ চলছিল। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ জানায়, মরদেহের পাশে ভারতীয় একটি কাগজ পাওয়া গেছে। অনেকেই বলাবলি করছেন, সোহেল রানা ভারতে আত্মীয়ের কাছে বসবাস করতেন। হয়তো রাতে সীমান্ত পারি দিয়ে আসার পর কোনো ঝামেলায় দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় এক রাখাল পাহাড়ে গরু চড়াতে গেলে অজ্ঞাতনামা ওই মরদেহের সন্ধান পায়। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে কে বা কারা সোহেল রানার পিতার কাছেও বিষয়টি ফোনে জানায়।
এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজিব বলেন, সোহেল রানার পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন এলে প্রকৃত সত্য জানা সহজ হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।