হিরো আলমের ওপর হামলা, কান ধরে উঠ-বস
বগুড়ায় আদালত চত্বরে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরে উঠ-বস ও বেধরক মারধর করার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হিরো আলম বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করে বলেন, ‘তারেক রহমানকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে বগুড়ায় আদালত চত্বরে আমাকে কান ধরে ওঠবস করানো ও বেধরক মারধর করা হয়েছে। আমি কখনও তারেক রহমানকে নিয়ে কিছু বলিনি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাকে বিএনপির লোকজন মারধর করলো। তারা বলতেছে যে আমি তারেক জিয়ার নামে কিছু বলছি। কেউ যদি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন আমি হিরো আলম তারেক জিয়াকে বকা দিছি, গালি দিছি... তাহলে আমি পুরো বগুড়া শহর জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরবো।’
যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে হত্যা করার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছে। আপনারা ফুটেজ দেখেছেন। যারা মেরেছে তাদের চেহারা দেখেছি। আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
ক্ষমতায় আসার আগে বিএনপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই তাদের লোকজন আমাকে মারধর শুরু করেছে।’
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘হিরো আলম মামলা করতে এসেছিলেন সরকারি লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপির লোকজনের তাকে মারধর না করে বরং খুশি হওয়ার কথা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোন লোকজন তাকে মেরেছে, কারো নাম বলতে পারবেন তিনি? আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।’
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিম রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে (হিরো আলম) মারধর করা হয়েছে, এটা আমরা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।