সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ৩০ মে ২০২৪

নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ৫

নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ৫
সংগৃহীত

নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৯ মে) রাতে উপজেলার ৯ নম্বর কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০), শাহ আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ মান্না (২৬), মো. হানিফের ছেলে রাকিব (২২), আবুল কালামের ছেলে মো. কবির (২২), একই গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে মো. জামাল (৫৫)।

আহতদের স্বজনরা জানান, কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ওই সময় পুলিশ এসে অতর্কিতে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা সবাই আনারস প্রতীকে জয়ী প্রার্থী এ কে এম সামছুদ্দিন জেহানের সমর্থক বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি গণমাধ্যম'কে বলেন, তারা একটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে দুজন সামান্য আহত হন। যারা আহত হয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি কিছুই বলা হয়নি। যারা ভোটকেন্দ্রে আক্রমণ করেছে এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ওসি আরও বলেন, ‘ভোট গণনা চলছিল। তখন তারা উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও ভোট বাক্স লুটের চেষ্টা করলে প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ গুলি ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

আ/ম

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়