নীলফামারী সদরে চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম
নীলফামারীতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪১টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার(২৯মে) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম। কয়েকজন করে ভোটার আসছেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়নি। ভোটকেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিত একেবারের কম দেখা গেছে।
নীলফামারী সদর উপজেলার ১৪১ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৭৮ এবং নারী ১ লাখ ৮১ হাজার ১৫৬ জন। ১৪১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে সাধারণের তালিকায়। অবশিষ্ট ৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে অধিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নির্বাচনে তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান (আনারস), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী (ঘোড়া), জেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি তপন কুমার রায় (হাতুড়ি) এবং জেলা জাতীয় পার্টির নেতা তরিকুল ইসলাম (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জ্যোতির্ময় রায় খোকন (টিয়া পাখি), হর্ষবর্ধন রায় (চশমা), আখতারুজ্জামান সম্রাট (তালা), আরিফ হোসেন (উড়োজাহাজ) এবং অনিমেষ রায় (টিউবওয়েল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তী (প্রজাপতি), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী (ফুটবল), জেসমিন আক্তার সাথী (কলস) এবং মোছা. শিউলী আক্তার বানু (হাঁস) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
আ/ম