বনশ্রীতে মামলার বাদী চেনেন না আসামীকে
বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দলোনকে কেন্দ্র করে ছাত্র জনতার অভ্যূথানকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিরীহ লোকদেরকে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার বিবরণে দেখা যায়, ডিএমপি রামপুরা থানার বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালের সামনে গত ৫ আগস্টে দীপক ঘোষ পিতা: মৃত দিলীপ কুমার ঘোষ মাতা, মায়া ঘোষ বনশ্রী, এই ব্যক্তি মোকদ্দমা বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ঢাকা সিআর মামলা নং ১৮৬ / ২০২৪ রামপুরা। ধারাঃ ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ দন্ডবিধি এই মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ০৪ নং আসামী হিসেবে মোঃ রুমি কাউসারের নাম দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, রুমি কাউসার সেই সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না এবং ঘটনার সাথে
তার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল। বাদীর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি ৪ নং বিবাদী রুমি কাউসারকে চেনেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, মামলার ঘটনা ও তারিখ যে সময় দেখানো হয়েছে সেসময় সেই এলাকায় এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। ৪ নং আসামী রুমি কাউসার ছাড়াও এই মামলায় বনশ্রী এলাকার অনেক নিরীহ লোকদেরকে জড়ানো হয়েছে। এসব ব্যক্তিরাও সেই সময় এলাকার বাহিরে ছিলেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এই মামলার বাদীকেও কেউ চেনেন না বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, একটি প্রতারক চক্র প্রতারণা ও চাঁদাবাজির কৌশল হিসেবে মামলার বাদী হিসাবে সনাতনী ধর্মাম্বলীদেরকে ব্যবহার করে নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। বাদীকে দিয়ে আদালতে ভুয়া মামলা করার পর বিজ্ঞ আদালত অফিসার ইনচার্জ, রামপুরা থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেন। এলাকার যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা ঘটনাস্থলের আশেপাশে রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ঘটনার দিন সময়ে উক্ত বনশ্রী এলাকায় গোলাগুলির কোন ঘটনা ঘটেনি।
থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে নিরপেক্ষভাবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের দাবি, যারা ঘটনার সাথে প্রকৃতভাবে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং যারা ষড়যন্ত্রের শিকার তাদেরকে এই মিথ্যা মামলা থেকে দ্রুত অব্যাহতি প্রদান করা হোক।
দেশে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যেসব কাজ যেসব সংস্কার করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কিন্তু নিরীহ মানুষ যাতে মিথ্যা মামলার নামে প্রতিহিংসা ও হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেসব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা বাস্তবায়ন করবে এটাই জনগণের প্রত্যাশা।