প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আসামি গ্রেফতার করছে না পুলিশ!
ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসের জেরে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় ছুরিকাহত হয়েছে এক তরুণ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক নামের এক তরুণকে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে মিরপুর সেনানিবাসের বাসিন্দা নূর কুতুবুল আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ(১৮)। পরে আহত ইশতিয়াকের বড় ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলা হলেও আসামিরা প্রাপ্ত বসয়স্ক না হওয়ায় এখনই গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মামলা অনুযায়ী আসামিদের বয়স ১৮ কিংবা তদূর্ধ্ব দেখানো হলেও তদন্তে ভিন্নতা দেখা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে আসামীরা ১৮ বছরের নিচে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি আরোও বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে, বসয়ের বিষয় নিশ্চিতের পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি তারা ১৮ বছরের নিচে হয় তবে শিশু আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পল্লবীর বাসিন্দা রায়হান ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় ইয়ামিন ও ইশতিয়াকে। শিপুকে নিয়ে দেওয়া ইয়ামিনের স্ট্যাটাস সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ছিল লক্ষ্য। তবে ঘটনাস্থলে ইয়ামিন, ইশতিয়াকসহ বাকীরা উপস্থিত হলেই রায়হানের উপস্থিতিতে আব্দুল্লাহের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে ইয়ামিনকে। ইয়ামিনকে বাঁচাতে গিয়েই গুরুতরভাবে আহত হয় ইশতিয়াক। এসময় সেখানে থাকা আরাফাতও অতর্কিত হামলা চালায় ইশতিয়াক এর উপর।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ইশতিয়াককে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।
এ বিষয়ে ইশতিয়াকের মা পারভীন আক্তার বলেন, আমার ছেলের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার সুষ্ঠু বিচার চাই। তিনি আরোও বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর ঘটনা ঘটলেও আমরা এখনও কোনো বিচার পাইনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি আসামি ধরে তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন।
মামলার বাদী ইমতিয়াজ বলেন, নতুন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছিল এর মূল লক্ষ্য। আমর ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।